Vivo X300 Pro সম্প্রতি AnTuTu v11 বেঞ্চমার্কে ৪ মিলিয়নেরও বেশি স্কোর করেছে। নতুন Dimensity 9500 চিপসেট, স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটি, ২০০এমপি পেরিস্কোপ ক্যামেরা এবং বিশাল ৬,৫০০mAh ব্যাটারি ফোনটিকে ২০২৫ সালের অন্যতম শক্তিশালী ফ্ল্যাগশিপে পরিণত করেছে। আসুন দেখে নেওয়া যাক ডিভাইসটির মূল ফিচার ও সম্ভাবনা।
ফোনটি AnTuTu v11-এ ৪,০১১,৯৩২ পয়েন্ট স্কোর করেছে। CPU ১,০৪৩,২৪৭ এবং GPU ১,৫১০,৯৮২ স্কোর তুলেছে। চারটি Cortex-X930 ও চারটি Cortex-A730 কোরের সমন্বয় এটিকে অল-বিগ-কোর ডিজাইন বানিয়েছে। যদি আরও উন্নত কুলিং সিস্টেম থাকতো, তবে দীর্ঘ সময় ধরে গেমিং পারফরম্যান্স আরও স্থিতিশীল হতো।
Satellite Communication Edition ভ্যারিয়েন্টটি সরাসরি স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটি সাপোর্ট করে। এটি বিশেষ করে জরুরি পরিস্থিতিতে যোগাযোগে সহায়ক হবে। তবে স্ট্যান্ডার্ড সংস্করণে এই সুবিধা থাকবে না, যা অনেকের জন্য সীমাবদ্ধতা হতে পারে।
ফোনটিতে থাকবে 6.8-ইঞ্চি 1.5K OLED ফ্ল্যাট ডিসপ্লে 120Hz রিফ্রেশ রেট সহ। এতে গেমিং ও মাল্টিমিডিয়া অভিজ্ঞতা দুর্দান্ত হবে। যদি LTPO 4.0 প্রযুক্তি থাকতো, তবে পাওয়ার এফিশিয়েন্সি আরও বাড়ত।
50MP Sony LYT-828 মেইন সেন্সর (OIS সহ), 50MP আল্ট্রাওয়াইড, এবং 200MP Samsung HPB পেরিস্কোপ টেলিফটো (OIS সহ) – এক কথায় DSLR-লেভেল ফটোগ্রাফি সম্ভব। V3 ও VS1 ইমেজ প্রসেসিং চিপ ছবি ও ভিডিওর মান আরও উন্নত করবে। যদি 8K ভিডিওতে সুপার-স্ট্যাবিলাইজেশন যুক্ত করা হতো, তবে এটি সেরা ভিডিও ফোন হতো।
ডিভাইসটিতে রয়েছে ৬,৫০০mAh ব্যাটারি, যা 90W ওয়্যার্ড ও 30W ওয়্যারলেস চার্জিং সাপোর্ট করে। এর ফলে দীর্ঘ ব্যাকআপ ও দ্রুত চার্জিং নিশ্চিত হবে। তবে রিভার্স ওয়্যারলেস চার্জিং থাকলে এটি আরও প্রিমিয়াম হতো।
স্যাটেলাইট এডিশন ভ্যারিয়েন্টে থাকবে 16GB RAM ও 1TB স্টোরেজ। এটি হেভি গেমার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য আদর্শ হবে। তবে বেস ভ্যারিয়েন্টে যদি 12GB RAM অপশন থাকতো, তবে দাম কিছুটা সাশ্রয়ী হতো।
iPhone 17s বাজারে আসার পরই Vivo X300 Pro লঞ্চ হতে চলেছে। এর শক্তিশালী চিপ, স্যাটেলাইট ফিচার ও উন্নত ক্যামেরা সিস্টেম একে Samsung Galaxy S25 Ultra এবং Xiaomi 15 Ultra-এর সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বী বানাচ্ছে।