vivo অবশেষে নিশ্চিত করেছে তাদের আসন্ন ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন vivo X300 Pro-এর ডিসপ্লে ফিচার। এই ডিভাইসে থাকছে ৬.৭৮ ইঞ্চির ফ্ল্যাট ডিসপ্লে, যা আগের X200 Pro-এর কোয়াড-কার্ভড স্ক্রিন থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। আরও আকর্ষণীয় বিষয় হলো, এর বেজেল আগের চেয়ে পাতলা এবং ডিজাইন হবে আরও কম্প্যাক্ট ও হালকা। ফলে একে হাতে ধরা হবে অনেক আরামদায়ক।
vivo X300 Pro এ থাকছে ৬.৭৮ ইঞ্চির ফ্ল্যাট ডিসপ্লে, যা ভিউয়িং এক্সপেরিয়েন্সকে করবে আরও পরিষ্কার ও প্রিমিয়াম। গেমিং বা ভিডিও স্ট্রিমিং করার সময় এই ডিসপ্লে চোখের আরাম দেবে। তবে, এখানে যদি LTPO 4.0 রিফ্রেশ রেট থাকত, তবে পাওয়ার সেভিং আরও উন্নত হতো।
ফোনটিতে আগের মডেলের তুলনায় বেজেল আরও পাতলা করা হয়েছে। এর ফলে স্ক্রিন-টু-বডি রেশিও বেড়ে যাবে এবং ইউজাররা পাবে সিনেমাটিক এক্সপেরিয়েন্স। তবে আন্ডার-ডিসপ্লে ক্যামেরা থাকলে ভিউ আরও নিখুঁত হতো।
vivo X300 Pro এর ডিসপ্লে আইফোন 16 Pro Max-এর সাথেও তুলনা করা হয়েছে। পাতলা বেজেল ও ফ্ল্যাট ডিসপ্লে এটিকে সরাসরি প্রতিযোগিতার তালিকায় নিয়ে এসেছে। তবে উজ্জ্বলতা (brightness) যদি আরও বেশি দেওয়া হয়, তবে আউটডোরে ব্যবহার আরও সহজ হবে।
X300 Pro হবে আগের X200 Pro এর চেয়ে হালকা ও বেশি কম্প্যাক্ট। ফলে এক হাতে ব্যবহার অনেক সহজ হবে। লম্বা সময় ধরে ব্যবহার করলেও হাতে চাপ পড়বে না। তবে বড় ব্যাটারি থাকলে ব্যালান্স আরও ভালো হতো।
ফোনটি আগামী মাসেই চীনে লঞ্চ হতে চলেছে। vivo সাধারণত নতুন প্রযুক্তির প্রথম ঝলক চায়নিজ মার্কেটে আনে। আন্তর্জাতিক বাজারে লঞ্চ হলে এটি আইফোন ও স্যামসাং-এর সাথেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
ফ্ল্যাট ডিসপ্লে ও হালকা ওজন ফোনটিকে দীর্ঘক্ষণ ব্যবহার করার জন্য আরামদায়ক করবে। যারা গেম খেলে বা ভিডিও কনটেন্ট দেখে তাদের জন্য এটি বড় প্লাস পয়েন্ট। তবে উন্নত হ্যাপটিক ফিডব্যাক থাকলে অভিজ্ঞতা আরও স্মার্ট হতো।
vivo X300 Pro ইতিমধ্যেই ডিসপ্লে সেকশনে সাড়া ফেলেছে। এখন ব্যবহারকারীরা ক্যামেরা, ব্যাটারি ও পারফরম্যান্স নিয়ে আরও চমকপ্রদ ফিচারের অপেক্ষায়। আশা করা যায়, লঞ্চের সময় এগুলো নিয়েও কোম্পানি বড় কিছু ঘোষণা দেবে।